ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কানাডার মুসলিমদের দুশ্চিন্তা

অনলাইন ডেস্ক :: নানা ‍দুশ্চিন্তা ও ভীতির মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে কানাডার মুসলিমদের। জি সেভেন দেশগুলোর মধ্যে কানাডায় ইসলামবিদ্বেষ থেকে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান থেকে এ খবর জানিয়েছে দেশটির সংগঠন ন্যাশনাল কাউন্সিল অব কানাডিয়ান মুসলিম (এনসিসিএম)।

কানাডার মোট জনসংখ্যার ৩.২ ভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠী। এদিকে ইসলামফোবিয়া রোধে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান দেশটির রাজনীতিবিদরা। কিন্তু আগামী ২০ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সমস্যা সমাধানের আরো পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন দেশটির মুসলিমরা।

অ্যালবার্টার এডমনটনের আল-রশিদ মসজিদের যোগাযোগ ও জনসংযোগ পরিচালক নুর আল হেনেদি বলেন, ‘মুসলিমদের মধ্যে ‘ভয় ও হতাশার অনুভূতি’ রয়েছে। কারণ এডমনটনের ঘটনার পর অনেক মুসলিম নারী মৌখিক ও শারীরিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন।’

গত জুন মাস থেকে কানাডায় সতর্কতা বৃদ্ধি পায়। সেই সময় লন্ডনের অন্টারিও শহরের একটি মুসলিম পরিবারের চার সদস্যকে পিক আপে চাপা দিয়ে মারা হয়। তাদের একমাত্র ৯ বছর বয়সী একটি ছেলে গুরুতর আহত হয়ে রক্ষা পায়।

আল হেনেদি আরো বলেন, ‘এমনকি অনেক হিজাব পরা নারী ও মেয়েরা চুল ঢেকে রাখতে বিশেষ ধরনের টুপি পরে সন্ধবেলা হাঁটতে বের হন। যেন তাদেরকে দেখতে মুসলিম মনে না হয় এবং তারা যেন কারো টার্গেট না হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘তারা এখন আরো বেশি সতর্ক। এয়ারপড লাগিয়ে তারা হাঁটতে যান না। এখন তাঁরা দলবদ্ধ হয়ে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাছাড়া মুসলিমদের বিরুদ্ধে হামলার কথা বলাও আমাদের জন্য খুবই পীড়াদায়ক।’

আল হেনেদি জানান, ‘ফেডারেল পার্টির নেতারা মৌখিকভাবে সমর্থন দিয়েছেন। বিশেষত ইসলাম বিরোধী হামলার পর তাদের সক্রিয় ভূমিকার কারণে খুব বেশি ঘটনা ঘটেনি।’

‘আলবার্টা সরকার আল রশিদ মসজিদে মুসলিম নারীদের আত্মরক্ষার উদ্যোগ ও অন্যান্য কর্মসূচীর জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। কিন্তু এটা তৃণমূলের সংগঠনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তা জাতীয় বা প্রাদেশিক পর্যায়ে নয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা একথা বলব না, শব্দের গুরুত্ব কম। তবে সেগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। বরং আমাদের মৌলিকভাবে পরিবর্তন দরকার। এই সমস্যাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া জরুরি। কারণ আমরা আর কোনো প্রাণ হারাতে চাই না।’

২০১৭ সালে ইসলামফোবিয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কানাডায় ১১ জন মুসলিমকে হত্যা করা হয়। একই বছর কিউবেক সিটির ছয় মুসল্লিকে অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে টরেন্টো মসজিদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কর্মরত একজন বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাত করা হয়। কানাডার অনেক মসজিদে চিঠি দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। সূত্র : আল জাজিরা

পাঠকের মতামত: